Product details
আপনি সরাসরি এই পণ্যটি ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করতে পারবেন। ক্যাশ অন ডেলিভারি মেথডে পেমেন্ট করতে পারবেন । কুরিয়ার চার্জ যোগ হতে পারে এই পণ্যের মূল দামের সাথে।
সঠিক পণ্য না পেলে সমস্ত দায়ভার সাপ্লায়ার বহন করবে। দেখে শুনে পণ্য ক্রয় করুন ।
ঘি
দুগ্ধজাত খাবার।ঘি নাম শুনলেই যেন মনটা ভরে যায়।গরম ভাতে একটু ঘি হলেই
যেন পুরো ভাতটা নিমিষেই খাওয়া হয়ে যায়।ভাতের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে
শরীরে দীর্ঘক্ষণ শক্তি থাকে। ঘি এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে।
বিশেষ কিছু খাবারের স্বাদ বাড়াতে যেমন কাচ্চি বিরিয়ানীসহ আরো অন্যান্য
খাবার তৈরিতে ঘিয়ের প্রয়োজন হয়। ঘি খেতে তো অনেকেই পছন্দ করেন আবার
অনেকেই অপছন্দ করেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না ঘিয়ের উপকারিতা সম্পর্কে। ঘি
তখনই শরীরের ক্ষতি করে, যখন তা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়। তাই ঘিয়ের
উপকারিতা পাওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রণ মেনে ঘি খেতে হবে। তবে তার আগে জেনে
নেওয়া যাক ঘিয়ের উপকারিতা গুলো কি কি-
১। হাড়ের জন্য:- “ঘিয়ের
ভিটামিন ‘কে’ ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিলে হাড়ের স্বাস্থ্য ও গঠন বজায় রাখে।
স্বাস্থ্যকর ইনসুলিন ও শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে কাজে লাগে ভিটামিন
‘কে।” বলেন চ্যাডউইক। ঘিতে যেসব ভিটামিন রয়েছে -এ, ডি, ই এবং কে, যা
আমাদের হৃৎপিন্ড,হাড়ের জন্য খুব উপকারী। এই ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক
লুব্রিকেন্ট যা গিঁটে ব্যথা ও আর্থ্রাইটিসের সমস্যা সমাধানে কাজ করে।
তাছাড়া এর মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এটি অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে
কাজ করে এবং হাড়কে ভালো রাখে।
২। চুল পড়া প্রতিরোধ করে:- খালি
পেটে ঘি খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটি চুল পড়া প্রতিরোধে সাহায্য
করে। ঘি চুল নরম, উজ্জ্বল করতে উপকারী।
৩। উপকারি কোলস্টেরল:-
কোলস্টেরল দু ধরনের- উপকারি ও ক্ষতিকর।ঘিতে রয়েছে উপকারি কোলস্টেরল। ঘিতে
রয়েছে কনজুগেটেড লিনোলেক অ্যাসিড। এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের
অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে।যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।ডেলিভারির পর নতুন
মায়েদের ঘি খাওয়ানো হয় এই কারণেই।
৪। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়/ব্রেন
টনিক হিসেবে কাজ করে:- নিউট্রিশনিস্টদের মতে নার্ভের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির
পাশাপাশি সার্বিকবাবে ব্রেন পাওয়ারের উন্নতিতে ঘি-এর কোনও বিকল্প হয় না
বললেই চলে। আসলে এত উপস্থিত ওমাগা- ৬ এবং ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর এবং
মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি
প্রাকাশিত বেশ কিছু গবেষমায় দেখা গেছে এই দুই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড
ডিমেনশিয়া এবং অ্যালঝাইমারসের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন
করে থাকে।
৫। কনজুগেটেড লিনোলেক অ্যাসিড- এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের
অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে। যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ডেলিভারির পর
নতুন মায়েদের ঘি খাওয়ানো হয় এই কারণেই।
৬। ওজন কমায় ও এনার্জি
বাড়ায়:- ঘিয়ের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড খুব দ্রুত
এনার্জি বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।অধিকাংশ অ্যাথলিট দৌড়নোর আগে ঘি খান। এর
ফলে ওজনও কমে।
৭। হজম ক্ষমতা বাড়ায়:- ঘিতে রয়েছে প্রচু বাটাইরিক
অ্যাসিড, যা আমাদের খাবার তাড়াতাড়ি হজম করতে সাহায্য করে।যারা
কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, তাদের জন্য ঘি খুবই উপকারী।
৮। রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায়:- প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকায়, ঘি আমাদের শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।ঘি এর বৈশিষ্ঠ্য হল নষ্ট হয় না- ঘি
সহজে নষ্ট হয় না। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ঠিক থাকে ঘি।
৯। ক্ষিদে কমায়:
ঘিতে ওমেগা-ত্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড থাকায় এটি ক্ষিদে পাওয়ার প্রবণতা
কমায়। ফলে ওজন হ্রাসের পথ প্রশস্ত হয়। অন্যমতে হজম ক্ষমতা বাড়ানোর কারণে
ঘি খিদে বাড়ায়।
১০। পজিটিভ ফুড-:- বহু প্রাচীন কাল থেকেই ঘি
পজিটিভ ফুড হিসেবে পরিচিত। আধুনিক গবেষণাও বলছে ঘি খেলে পজিটিভিটি বাড়ে।
কনশাসনেস উন্নত হয়।
১১।ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়:- ঘিয়ের মধ্যে
কোষকে পুনর্গঠন করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা
বাড়ায় এবং ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। ঘি ত্বককে ময়েশ্চার করে, ত্বকের
রোগ সোরিয়াসিস কমাতে কাজ করে। প্রতিদিন খালি পেটে ঘি খাওয়া শুরু করলে
শরীরে ভিতর থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে, সেই সঙ্গে ত্বকের ভেতরে কোলাজেনের
উৎপাদন বেড়ে যায়। তাই ত্বকের সৌন্দর্যও বাড়ে।
১২। ত্বকের প্রদাহ
কমায়: অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় সেই প্রাচীন কাল থেকেই ত্বককে
মসৃণ করতে ঘিয়ের ব্য়বহার হয়ে আসছে। শুধু কী তাই, ত্বকের প্রদাহ, ক্ষত
এবং পোড়ার দাগ মেটাতেও এটি দারুন কাজে আসে।
১৩। ক্যান্সার রোগকে
দূরে রাখে: ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে উপস্থিত ফ্রি রেডিকালদের
ক্ষতি করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে কোষের বিন্যাসে পরিবর্তন হয়ে
ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে
অনেকেই ঘি সহযোগে রান্না করে থাকেন। এই অভ্যাসও কিন্তু খারাপ নয়। কারণ
ঘি-এর “স্মোকিং পয়েন্ট” খুব হাই। ফলে বেশি তাপমাত্রায় রান্না করলেও কোনও
ক্ষতি হয় না।
১৪। চোখকে ভালো রাখে: ঘিতে রেয়েছ ভিটামিন -ই। তাই
এটি যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে অবটিক নার্ভের উন্নতি ঘটে। ফলে আমাদের
দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।
১৫।আরও কিছু উপকারিতা: নিয়মিত ঘি খেলে
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই শক্তিশালী
হয়ে ওঠে যে কোনও ধরনের সংক্রমণই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
১৭।অ্যালার্জি কমায়: ‘ল্যাকটোজ ইনটোলেরেন্ট’ বা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের যাদের পেটের গড়বড় হয় তাদের জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে ঘি।
চ্যাডউইক
বলেন, “মাখনকে ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম করে ঘি তৈরি হয়, ফলে এই সকল
আমিষ উপাদান পাত্রে থেকে যায়, শুধু চর্বি অংশটুকু অবশিষ্ট থাকে ঘিতে। আর
এই আমিষ অংশটিই পেটের গড়বড়ের জন্য দায়ী।”
“মাখনে থাকে ‘ক্যাসেইন’
ও ‘ল্যাকটোজ’, যা অনেকেরই হজম করতে সমস্যা হয়, অ্যালার্জি দেখা দেয়।
মাখন থেকে এই উপাদানগুলো বের করে দিয়ে ঘি তৈরি করলে চর্বি ও পুষ্টিগুনগুলো
পাওয়া সম্ভব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। তবে আপনার ঘি সহ্য হয় কি না
সেটা আগে নিশ্চিত হতে হবে।” -বলেন চ্যাডউইক।
১৮। প্রদাহরোধী:
স্বাস্থ্যকর ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের জন্য চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি। ঘাস
খেয়ে বেড়ে ওঠা গাভীর দুধ থেকে তৈরি ঘিয়ে মেলে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স
ফ্যাট বা চর্বি। ছোট ও মাঝারি ‘চেইন’য়ের এ্ চর্বি প্রদাহের মাত্রা মৃদু
করতে সাহায্য করে। কারণ এই চর্বি দ্রুত ভাঙে এবং হজম হয় সহজে। ফলে হজম
প্রক্রিয়া, গলব্লাডার ও কোষের স্বাভাবিক কার্যাবলী বজায় রাখতে সহায়ক
ভূমিকা রাখে।
১৯। ভিটামিনের উৎস: বিশেষজ্ঞের মতে, “প্রাকৃতিকভাবেই
ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, লাইনোলেইক অ্যাসিড ও বিউটাইরিক অ্যাসিড
থাকে। দৃষ্টিশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, জননাঙ্গ ইত্যাদির জন্য ভিটামিন
‘এ’ অত্যন্ত উপকারী।
ঘিতে সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ‘কে’, ‘ই’ এবং ‘বি টুয়েলভ’ থাকে।
ঘিয়ের
ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘কে’ চর্বিতে দ্রবণীয়। ফলে চর্বিজাতীয় খাবারের সঙ্গে
খেলে শরীরে আরও ভালোভাবে শোষিত হয়। শরীরের প্রয়োজনে ব্যবহৃতও হয় বেশি
কার্যকরভাবে।”
২০।অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান: কোষকে ‘অক্সিডেটিভ’
ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। অক্সিজেনের সঙ্গে পদার্থের
রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কোষের যে ক্ষয় হয় তাই হচ্ছে ‘অক্সিডেটিভ’
ক্ষতি। শরীরে চিনি বেশি হলে, বিপাকীয় চাপ বেশি হলে, কোষের মাইটোকন্ড্রিয়া
ভালোভাবে কাজ না করলে এবং ইনসুলিনের অনিয়ম হলে এই সমস্যা হয়। অতিরিক্ত
অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আর এই সমস্যার ঝুঁকি কমাতে কিছুটা হলেও অবদান আছে ঘিয়ের।
২১। নষ্ট হয় না– ঘি সহজে নষ্ট হয় না। প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে ঘি।
২২।স্ফুটনাঙ্ক–
ঘি-এর স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি। ২৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত খাঁটি ঘি গরম
করা যায় যেমন বিডি হেলথ ঘি। অধিকাংশ তেলই এই তাপমাত্রায় গরম করলে
ক্ষতিকারক হয়ে যায়।
২৩।কোষ্ঠকাঠিন্য: ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে
ন্যাচারাল লুব্রিকেটিং, যা এক ধরনের পিচ্ছিল উপদান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে
ভুগছেন, তারা এক কাপ দুধের মধ্যে এক চামচ ঘি মিশিয়ে কিছুক্ষণ চুলার ওপর
রাখুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি পান করুন।
২৪। স্বাদ: সুন্দর গন্ধ ও স্বাদ অথচ অধিকাংশ দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো ঘি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
২5। ভিটামিন: ভিটামিন এ ও ই থাকায় ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
২৬।রূপচর্চা:
রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। এক চামচ ঘি নিয়ে
আপনার চোখের চারপাশে মাখুন। এবার সারা মুখে আলতো করে লাগিয়ে নিন। আই
ক্রিমের পাশাপাশি এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে। বিশেষ করে
ত্বকে শুষ্কতা দূর করতে এটি উপকারী।
২৭।রাগ প্রশমন:বিশেষ কোনো কারণে
কিংবা বিনা কারণে খুব রেগে গেছেন। গ্লাস ভাঙে কিংবা কুটিকুটি করে কাগজ
ছিঁড়েও কাজ হচ্ছে না। হাতে একটু ঘি নিয়ে নাকে লাগান। এবার স্বাভাবিকভাবে
নিশ্বাস নিন। দেখবেন এর সুগন্ধটা আপনার মন আর মস্তিষ্ককে বশে এনে ফেলেছে।
আর রাগের বিষয়টি— ততক্ষণে ভুলে গেছেন আপনি।
২৮।মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমায়:
ঘি’তে
লিনলিয়েক এসিড সমৃদ্ধ, এটি এক প্রকার ফ্যাটি এসিড যা প্লাককে প্রতিরোধ
করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হার্টের বিভিন্ন রোগ দূর করে।
২৯।কোষ্ঠকাঠিন্যে: যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, তাঁদের জন্য ঘি খুবই উপকারী।
৩০।মানসিক বিষক্রিয়াগত মাথাব্যথা মুছে ফেলে:
গবেষণায়
দেখা যায়, নেতিবাচক আবেগের একটি রাসায়নিক রচনা রয়েছে এবং তা হল এইসব
রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে। ঘি একটি সুস্থ চর্বি
যা এই আবেগ পোষণ করে না। এর পরিবর্তে এটি তাদের খুঁজে ফ্লাশ করতে ব্যবহার
করা যেতে পারে।
রূপচর্চায়ও বেশ কার্যকরী ঘিয়ের ৪টি ব্যবহার:
১. ঠোঁটকে নরম এবং গোলাপি রাখতে ঘিয়ের জুড়ি নেই। অল্প ঘি নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে হালকা হাতে ঘষুন।
২. চোখের নিচের কালি দূর করবে ঘি। এক ফোঁটা ঘি নিয়ে চোখের চারপাশে ম্যাসাজ করুন। সারারাত রেখে সকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩.
প্রতিদিন মাথার ত্বকে ঘি দিয়ে ম্যাসাজ করলে মাথায় রক্ত চলাচল ভালো হয়
এবং চুল বাড়তে সাহায্য করে। চুলের সৌন্দর্য বাড়াতেও ঘি দারুণ উপকারী।
চুলকে আরো চকচকে এবং নরম রাখে ঘি। এক চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে ২ চামচ ঘি
নিয়ে চুল এবং মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন।
৪. দুই চামচ ঘি হালকা গরম করে ভালো করে তাতে অল্প পানি মেশান।
তারপর সেই মিশ্রণ সারা গায়ে এবং মুখে মাখুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
এতে ত্বক সমৃণ থাকবে।
কতটা পরিমাণ ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যকর: উপকারি খাবারও
বেশি মাত্রায় খাওয়া উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে শরীরের ভাল হওয়ার থেকে
ক্ষতি হয় বেশি। যেমন, ঘি-এর কথাই ধরুন না। এই খাবারটি শরীরের এতটা উপকারে
লাগে। কিন্তু কেউ যদি অনিয়ন্ত্রিত হারে ঘি খাওয়া শুরু করেন, তাহলে শরীরে
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের
স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তাহলে এখন প্রশ্ন হল, দিনে কত পরিমাণ ঘি খাওয়া
চলতে পারে? চিকিৎসকদের মতে শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনিক ২ চামচের বেশি ঘি
খাওয়া একেবারেই চলবে না। অর্থাৎ এ খাবার গ্রহণে পরিমিত হতে হবে। একবারে
বেশি খাওয়া যাবে না। দিনে ১০ থেকে ১৫ গ্রাম ঘি খাওয়া যেতে পারে।
ভিটামিন: ঘি-তে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে আছে। যা আমাদের হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক এবং হাড়ের জন্য খুবই উপকারী।
কাদের
ঘি খাওয়া উচিত না?: অনেকের মতেহার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস
অথবা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় যারা ভুগছেন ঘি খাওয়া উচিত না।
ঘি
কিভাবে তৈরি করবেন? ঘিয়ের উপকারিতা শুনে এরই মধ্য যারা ব্যবহারের
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা কিন্তু ঘরে বসেই এটি তৈরি করতে পারেন। এর জন্য
প্রয়োজন ভালো মানের অর্গানিক মাখন, যা অবশ্যই লবণমুক্ত।
একটি
পাত্রে মাঝারি আঁচে এটিকে জাল দিন। কিছুক্ষণ পর পপকর্নের গন্ধের মতো করে
মিষ্টি একটি সুবাস ছড়িয়ে সোনালি রঙ ধারণ করবে গলে যাওয়া মাখন। ১৫ থেকে
২০ মিনিট পর দেখবেন মাখনের মধ্যে থাকা দুধ নিচে জমা হচ্ছে এবং সুবর্ণ
বাদামি রঙ ধারণ করছে। এবার একটি ছাঁকনি দিয়ে এটিকে ছেঁকে ফেলুন। ব্যস! ২০
মিনিটেই তৈরি আপনার ঘি। এতসব ঝামেলার কাজ নিজে না করতে চাইলে আমাদের ঘি
কিনে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন।
"ঘি সংরক্ষণ পদ্ধতি"
"ঘি এর দাম"
"মাখন এর উপকারিতা"
"ত্বকের যত্নে ঘি"
"বাচ্চাদের ঘি খাওয়ার উপকারিতা"
"Ghee khele ki hoy"
"খালি পেটে ঘি খাওয়ার উপকারিতা"
"রূপচর্চায় ঘি এর ব্যবহার"
"ঘি তৈরির উপকরণ"
"ঘি এর ব্যাবহার"
"ঘি দিয়ে রান্না"
"কোন কোম্পানির ঘি ভালো"
"গাওয়া ঘি অর্থ"
"বাটার অয়েল কি"
"গাওয়া ঘি ছবি"
"ঘি তৈরী"
"ভেজিটেবল ঘি"
"খাঁটি ঘি চেনার উপায়"
"আড়ং ঘি এর দাম"
"ঘি এর ব্যবসা"
"বাঘাবাড়ি ঘি"
"ঘি বানানোর নিয়ম"
"মাখন এর দাম"
রোজ ঘি খাওয়া কি ভালো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ? জানুন পরামর্শ...
ঘি!
আমাদের রান্নাঘরে যে কয়েকটি সুপার ফুড আছে তার মধ্যে অন্যতম ঘি বিভিন্ন
মিষ্টি ও নোনতা খাবারে ঘি এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।তবে তা সঠিক
তাপমাত্রা ও সঠিক পরিমানে ব্যবহার করাই বাঞ্চনীয়। যে কোনো কার্বোহাইড্রেট
জাতীয় খাবারের সাথে ঘি মিশ্রিত হলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমিয়ে দেয়
সামান্য হলেও, ডায়াবেটিক পেশেন্ট দের জন্য যা উপকারী।
পুরানকাল
থেকেই ঘি কে অত্যন্ত পবিত্র সামগ্রী হিসাবে গন্য করা হয়। প্রচলিত আছে
"tongue of the god" " navel of immortality" নামে পরিচিত।
কিন্তু
বর্তমানে দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় ঘি কে বাদ দেওয়া হয়। যারা ডায়েটিং করার
নামে সারাদিনে খাওয়াই ছেড়ে দিয়েছেন তারাতো ঘি কে কোনোভাবেই
খাদ্যতালিকায় রাখতে চান না ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে। কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল
ধারণা এটি।
পুরানকাল থেকেই ঘি কে অত্যন্ত পবিত্র সামগ্রী হিসাবে
গন্য করা হয়।প্রচলিত আছে "tongue of the god" " navel of immortality"
নামে পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় ঘি কে বাদ দেওয়া
হয়। যারা ডায়েটিং করার নামে সারাদিনে খাওয়াই ছেড়ে দিয়েছেন তারাতো ঘি
কে কোনোভাবেই খাদ্যতালিকায় রাখতে চান না ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে। কিন্তু
সম্পূর্ণ ভুল ধারণা এটি।
আমাদের রান্নাঘরে যে কয়েকটি সুপার ফুড আছে
তার মধ্যে ঘি অন্যতম। বিভিন্ন মিষ্টি ও নোনতা খাবারে ঘি এর ব্যবহার লক্ষ্য
করা যায়। তবে তা সঠিক তাপমাত্রা ও সঠিক পরিমানে ব্যবহার করাই বাঞ্চনীয়।
ঘি কে কেন আমরা সুপার ফুড বলি তাহলে দেখে নেওয়া যাক-
১. ঘি তে ফ্যাট এর পরিমাণ বেশ বেশি, তাই যারা ওজন বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন ঘি ভাত আলুসিদ্ধ তাদের জন্য স্টেপল ফুড হওয়া উচিৎ।
২.
ঘি তে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বেশি হলেও তা কিন্তু হার্টের পক্ষে ক্ষতিকর
নয়, কারণ ঘি তে উপস্থিত ফ্যাট রক্তে উপকারী HDL কোলেস্টেরল এর পরিমাণ
বাড়ায় এবং ক্ষতিকর LDL এর পরিমাণ কমায়
৩. ঘি একটি ল্যাকটোজ ফ্রি মিরাকল ফুড যা কিনা ফ্যাট সলেবল ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে সমৃদ্ধ ।
বার্ড ফ্লুর ভয়ে ডিম বা চিকেন খাওয়া বন্ধ করছেন? FSSAI-র গাইডলাইন কী বলছে? দেখে নিন...
৪. দেহে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্যকরে।
৫. ঘি তে ক্যালোরির পরিমান খুব বেশি হওয়ায় শীতকালে দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৬. ঘি এর সাথে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে শীতকালে সর্দি কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যায়, কারণ এতে রয়েছে অদ্ভুত মাইক্রোবিয়াল প্রপার্টি।
৭.ঘি কিন্তু মিডিয়াম ও শর্ট চেন ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ তাই উপযুক্ত গ্রহণে হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৮
. ঘি এর antiviral ও anti fungal ধর্মের জন্য দায়ী লাউরিক এসিড। ঘি এর
সাথে হলুদ মিশিয়ে তৈরি মিশ্রণ বেডসোর এর নিরাময়ে ঘরোয়া উপায় হিসাবে
গন্য করা হয়।
ঘিয়ের
বহু গুণের কথা আমরা শুনে থাকলেও স্বাস্থ্য সচেতন, বলা ভাল ওজন সচেতন
বর্তমান প্রজন্মের কাছে ঘি ভিলেন। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। ঘিয়ের
বহু উপকারিতা তো রয়েছেই, ঘি কিন্তু ওজন কমাতেও সাহায্য করে। জেনে নিন কী
কী কাজ করে ঘি।
১। স্ফুটনাঙ্ক- ঘি-এর স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি। ২৫০
ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত ঘি গরম করা যায়। অধিকাংশ তেলই এই তাপমাত্রায়
গরম করলে ক্ষতিকারক হয়ে যায়।
২। নষ্ট হয় না- ঘি সহজে নষ্ট হয় না। প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে ঘি।
৩। স্বাদ- সুন্দর গন্ধ ও স্বাদ অথচ অধিকাংশ দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো ঘি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৪। ভিটামিন- ভিটামিন এ ও ই থাকায় ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
৫।
কনজুগেটেড লিনোলেক অ্যাসিড- এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অ্যান্টি-ভাইরাল
গুণ রয়েছে। যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ডেলিভারির পর নতুন মায়েদের ঘি
খাওয়ানো হয় এই কারণেই।
৬। ওজন ও এনার্জি- ঘিয়ের মধ্যে থাকা মিডিয়াম
চেন ফ্যাটি অ্যাসিড খুব এনার্জি বাড়ায়। অধিকাংশ অ্যাথলিট দৌড়নোর আগে ঘি
খান। এর ফলে ওজনও কমে।
৭। হজম ক্ষমতা- ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে বাটাইরিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
৮। রোগ প্রতিরোধ- বাটইরিক অ্যাসিড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৯। খিদে বাড়ায়- হজম ক্ষমতা বাড়ানোর কারণে ঘি খিদে বাড়ায়।
১০।
পজিটিভ ফুড- বহু প্রাচীন কাল থেকেই ঘি পজিটিভ ফুড হিসেবে পরিচিত। আধুনিক
গবেষণাও বলছে ঘি খেলে পজিটিভিটি বাড়ে। কনশাসনেস উন্নত হয়।
প্রতিদিন গরুর দুধের সরের ঘি খাওয়ার উপকারিতা :
** ত্বকের শুষ্কতা দূর করে তা আর্দ্র রাখে।
** ভিটামিন এ থাকায় এটি চোখের জন্য ভালো। গ্লুকোমা রোগীদের জন্য উপকারী। এটি চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
**
সকালে উঠে এক চামচ ঘি আর এক গ্লাস গরম পানি খেলে আরথ্রাইটিস, চুল পড়া
প্রতিরোধসহ বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। তবে এটি খেলে অন্তত আধা ঘণ্টার মধ্যে
অন্য কিছু খাওয়া যাবেনা।
** ঘি খেলে যে হরমোন নিঃসরণ হয়, এতে শরীরের সন্ধিগুলো ঠিক থাকে।
** এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বলে অন্য খাবার থেকে ভিটামিন ও খনিজ শোষণ করে শরীরকে রোগ প্রতিরোধে সক্ষম করে তোলে।
** পোড়া ক্ষত সারাতে কাজ করে ঘি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আছে ঘি খেলে মস্তিষ্কের ধার বাড়ে ও স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
** ভিটামিন এ, ডি, ও ই থাকায় ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
সংগ্রহ: অনলাইন
*** আমি আবদুল ওয়াহিদ। ঢাকা থেকে কাজ করছি Organic Food নিয়ে।